১.০১ অর্থ বলতে কি বুঝ? 

উত্তর : যে বস্তু সাধারণত বিনিময়ের মাধ্যমে ও সকল প্রকার লেনদেনের জন্য সকলের নিকট গ্রহণীয়, হয় তাকে অর্থ বলে। 

১.০২ অর্থের কয়েকটি কার্যাবলি লিখ?

 উত্তর : অর্থের কার্যাবলি যথা- (ক) মূল্যের পরিমাপক; (খ) বিনিময়ের মাধ্যম; (গ) সঞ্চয়ের বাহন এবং (গ) ঋণ পরিশােধের মান। 

১.০৩ কয়েকটি মুদ্রার নাম লিখ। 

উত্তর : কয়েকটি মুদ্রার নাম- ১. কাগজি মুদ্রা; ২. হিসাবী মুদ্রা; ৩. প্রকৃত মুদ্রা ও ৪. প্রতীকী মুদ্রা। 

১.০৪ অর্থের যােগান কাকে বলে? 

উত্তর : কোনাে নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক অর্থের মােট সরবরাহকে বলা হয় অর্থের যােগান।

 ১.০৫ অর্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখ। 

উত্তর : (ক) সর্বজন গ্রাহ্যতা এবং (খ) বিনিময়ের মাধ্যম।

১.০৬ অর্থের যােগানের উপাদানগুলাে কি কি? 

উত্তর : অর্থ যােগানের উপাদান দুটি যথা- (ক) সংকীর্ণ অর্থ এবং (খ) ব্যাপক অর্থ। 

১.০৭ মুদ্রা অর্থনীতি কি? উক্তর : যেখানে অর্থনীতির সকল লেনদেন ও কাজকর্ম অর্থের মাধ্যমে সম্পাদিত হয় তাকে মুদ্রাভিত্তিক অর্থনীতি বলে। 

১.০৮ অর্থের প্রয়ােজনীয়তা কি? 

উক্তর : বিনিময় পদ্ধতির সহজীকরণ, মূল্য ব্যবহার ভিত্তি, বিশেষীকরণ, আয়ের বণ্টন, মূল্যের পরিমাপ ইত্যাদি।

 ১.০৯ অর্থের গতীয় কার্যাবলি কাকে বলে?

উত্তর : আয় ও নিয়ােগ বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনায়নে অর্থ যেসব কাজ সম্পন্ন করে, তাদেরকে অর্থের গতীয়তা বলে। 

১.১০ অর্থের দ্বারা সৃষ্ট দুটি সমস্যা লিখ। 

উত্তর : সমস্যাগুলাে হলাে- (ক) মুদ্রাস্ফীতি এবং (খ) শ্রেণি বৈষম্য।

১.১১ অর্থের চাহিদা কি?

উত্তর : ব্যবসা বাণিজ্য এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য মানুষ যখন অর্থের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করে তখন তাকে অর্থের চাহিদা বলে।

১.১২ দামস্তরের সাথে অর্থের মূল্যের সম্পর্ক কি? 

উত্তর : দামস্তরের সাথে অর্থের মূল্যের সম্পর্ক বিপরীত দামস্তর বাড়লে অর্থের মূল্য কমে আর দামস্তর কমলে অর্থের মূল্য বাড়ে। 

১.১৩গ্রেশামের বিধির মূল কথা কি? 

উত্তর : গ্রেশামের বিধির মূলকথা নিকৃষ্ট মুদ্রা উৎকৃষ্ট মুদ্রাকে বাজার থেকে বিতাড়িত করে।

 ১.১৪ অর্থের মূল্য অর্থের পরিমাণের উপর নির্ভের করে এটি  কোন তত্ত্বের কথা? 

উত্তর : এটি অর্থের পরিমাণ তত্ত্বের মূল কথা।

১.১৫ পরিমাণ তত্ত্বের ফিশারীয় সমীকরণটি লিখ।

উত্তরঃ PT = MV = M1V1 

১.১৬ নিকৃষ্ট মুদ্রা কি? 

উত্তর : গুণগত বা ধাতুগত মূল্যের দিক থেকে যার মূল্য অপরের তুলনায় কম তাকেই বলা হয় নিকৃষ্ট মুদ্রা।  

১.১৭ দ্রব্য বিনিময় প্রথা কি? 

উত্তর : অর্থ ছাড়া একটি দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য একটি  দ্রব্য বদল করে যখন অভাব পূরণ করা হয় তাকে দ্রব্য বিনিময় প্রথা বলে।

১.১৮ দ্রব্য বিনিময় প্রথার অসুবিধাগুলাে কি কি? 

উত্তর : অভাবের অসঙ্গতি, দ্রব্যের অবিভাজ্যতা, মুদ্রা পরিমাপের অভাব, সঞ্চয়ের অভাব, বহনযােগ্যতার অভাব। 

১.১৯ কালাে টাকা কাকে বলে? 

উত্তর : মানুষের অপ্রদর্শিত আয়কেই বলা হয় কালো টাকা।

১.২০ মুদ্রাস্ফীতির সংজ্ঞা দাও।

উত্তর : অর্থের ক্রয়ক্ষমতা যখন দ্রুত কমতে থাকে তখন সেই অবস্থাকে মুদ্রাস্ফীতি বলে।

১.২১ অর্থের চাহিদা কত প্রকার ও কি কি?  

উত্তর : অর্থের চাহিদা তিন প্রকার। যথা- ১. লেনদেন চাহিদা; ২. সতর্কতামূলক চাহিদা এবং ৩. অর্থের ফটকা চাহিদা।

১.২২ অর্থের ফটকা চাহিদা কি? 

উত্তর  : ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মানুষ যে অর্থের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করে তাকে অর্থের ফটকা চাহিদা বলে।

Post a Comment

Previous Post Next Post