পার্থক্যের বিষয় বিহিত অর্থ ঐচ্ছিক অর্থ
সংজ্ঞাগত যে অর্থ সরকারের আইন দ্বারা স্বীকৃত এবং লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সর্ব সাধারণ গ্রহণ করতে বাধ্য তাকে বিহিত মুদ্রা বলে। যে অর্থ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে আইনত কেউ বাধ্য নয়, তবে প্রয়ােজনে লেনদেন কার্যে সহায়তা করে তাকে ঐচ্ছিক অর্থ বলে।
আইনগত স্বীকৃতি বিহিত মুদ্রা দেশের আইন দ্বারা স্বীকৃত। ঐচ্ছিক অর্থের আইনগত স্বীকৃতি নেই।
প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষ কেন্দ্রিয় ব্যাংক দেশে বিহিত মুদ্রা প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঐচ্ছিক অর্থ প্রচলন করে থাকে।
বিনিময় মাধ্যম বিহিত অর্থ বিনিময় হিসেবে মাধ্যম সর্বজন স্বীকৃত। ঐচ্ছিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত নয়।
উদাহরণ বিহিত অর্থ হল -১টাকা, ২টাকা সহ সকল কাগজি নােট ও বিভিন্ন প্রকার ধাতব মুদ্রা। ঐচ্ছিক মুদ্রা/অর্থ হল ব্যাংকের চেক, প্রাইজ বন্ড ইত্যাদি।
শর্ত পূরণ বিহিত অর্থ গ্রহণযােগ্যতার ক্ষেত্রে কোন শর্ত পূরণের প্রয়ােজন হয় না। ঐচ্ছি অর্থের ব্যবহার শর্ত/ সাপেক্ষে গ্রহণযােগ্য।
বিভাজ্যতা বিহিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভাজন যােগ্যতা আছে। ঐচ্ছিক অর্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভাজন যােগ্যতা নেই।

2 Comments

  1. অসম্ভব সুন্দর একটি ব্লগ। আমি সত্যিই মুগ্ধ।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post